Saturday, 26 November 2016

মৎস্য চাষ কাতলা

কাতলা খুব তাড়াতাড়ি বাড়ে। ভারতের উত্তর ভাগের নদ-নদী, সেই সঙ্গে বাংলাদেশ, নেপাল, পাকিস্তান, ও মায়ানমার প্রভৃতি দেশে এই মাছ পাওয়া যায়। কাতলা মাছের মাথা দেহের অনুপাতে বেশ বড়। দেহকাণ্ডটি দু’ পাশে চ্যাপ্টা। দেহের রঙ সাদাটে। তবে যে পুকুরে জলজ উদ্ভিদ বেশি ও শ্যাওলা থাকে সেখানে দেহের রঙ কালো হয়। মুখটি বড়, ঠোঁট ও শুঁড়হীন হয়। সমগ্র দেহটি আঁশ দিয়ে ঢাকা থাকে। এরা পুকুরের উপরের অংশে বিচরণ করে। ছোট অবস্থায় প্রাণীখাদ্য কণিকা খায়। মাছ বড় হলে প্রাণী খাদ্যকণা ছাড়াও উদ্ভিদকণা, শ্যাওলা ও খোলোসযুক্ত অতি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রাণী খায়। বাজারে এদের ভীষণ চাহিদা। এদের যত বড় করা যায় চাহিদা এদের ততই বাড়ে। এবং তুলনামূলক ভাবে লাভ বেশি হয়। নিয়মিত খাবারের জোগানের সঙ্গে পুকুরের পরিচর্যা ও রোগ-পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে পারলে এই জাতীয় মাছ অনেক বড় হতে পারে। সাধারণ ভাবে ৫-১০ কেজি ৩ – ৭ বছরেই হতে পারে। স্থানীয় পুকুরে বড় করার প্রধান অন্তরায় সামাজিক ব্যধি। মাঝেমধ্যে প্রয়োজনমতো কিছু কিছু করে ধরে বাজারে আনা যায়। দ্বিতীয় বছরেই এদের জননঅঙ্গ পরিপক্কতা লাভ করে। এক কেজি ওজনের মাছে ৭০,০০০ ডিম থাকে। এরা পুকুরে ডিম পাড়ে না, স্রোত যুক্ত জলে ডিম পাড়ে।


No comments:

Post a Comment