রুই
রুই মাছ সাধারণত ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, নেপাল, মায়ানমার প্রভৃতি দেশে পাওয়া যায়। এ ছাড়াও বিভিন্ন দেশে যেমন শ্রীলঙ্কা, মরিশাস, জাপান, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া প্রভৃতি দেশেও এদের চাষের চেষ্টা চলছে। এদের দেহ লম্বা ও দ্বিপার্শ্বীয় ভাবে প্রতিসম ও দু’ পাশে চাপা থাকে, মাথাটি ছোট ত্রিকোনাকার এবং মুখের উপরের ঠোঁটে এক জোড়া শুঁড় থাকে। মাথা ও লেজের দিকে ক্রমশ সরু, অনেকটা মাকুর মতো। দেহের পাখনাগুলির বর্ণ লালচে রঙের কিন্তু পেটের দিকের রঙ হালকা সাদা। আবার মাথার সামনের দিক ও পিঠের দিকের রঙ কালচে হয়। রুই মাছ জলের মাঝামাঝি অংশে বিচরণ করে। ছোট অবস্থায় জুপ্ল্যাঙ্কটন বা প্রাণীকণা খায়। বড় হলে এরা উদ্ভিদকণা, প্রাণীকণা, জলজ উদ্ভিদের নরম পাতা খায়। রুই মাছের দু’ বছর বয়সেই জননক্ষমতা হয়। এই সময় পরিণত ডিম্বাশয়ে মোট ২.২৬ লক্ষ থেকে ২.৮ লক্ষ ডিম সৃষ্টি করে। এরা বদ্ধ জলাশয়ে ডিম পাড়ে না। বর্ষাকালে স্রোতযুক্ত মিষ্টি জলে ও প্রজনন পদ্ধতিতে বদ্ধ জলাশয়ে ডিম পাড়ে। অনুকূল পরিবেশে এক বছরে ৯০০ গ্রাম ওজন হয়। এই মাছের বৃদ্ধি কাতলার থেকে একটু কম। ছোট অবস্থায় কাতলার দামের চেয়ে রুই মাছের দাম তুলনায় একটু বেশি। আবার ৩- ৪ কেজি ওজনের উপরে কাতলা মাছের চাহিদা বেশি। তাই রুই মাছকে ছোট থেকেই বিক্রি করা হয় প্রয়োজনমতো।
No comments:
Post a Comment